01-01
আরম্ভ
সেটি হল, ঈশ্বর ছাড়া কোনো কিছুর অস্ত্বিত্বের পূর্বে, “সকল কিছুর শুরু হওয়া৷”
সৃষ্টি
কোনো কিছু থেকে নয় অর্থাৎ শূন্য থেকে সৃষ্টি করার কথা বলা হয়েছে।
ব্রহ্মাণ্ড
এইটি পৃথিবীতে ও আকাশে ঈশ্বরের রচিত সকল কিছুকে অন্তর্নিহিত করে, দৃশ্য ও অদৃশ্য দুটোই৷
অন্ধকার
এটি সম্পূর্ণরূপে অন্ধকার ছিল৷ কোনও আলো সেখানে ছিল না, যেহেতু ঈশ্বর তখনও কোনো আলোর সৃষ্টি করেন নি৷
শূন্যতা
শূন্য পৃথিবী জলরাশির দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল, এছাড়া ঈশ্বর অন্য কোনো কিছুরই রচনা তখনও করেন নি৷
কিছুরই আকার দেওয়া হয়নি
কেবল সকল কিছু জলরাশি দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল, তাছাড়া পার্থক্যযোগ্য কোনো বৈশিষ্ট্য সেখানে ছিল না৷
ঈশ্বরের আত্মা
ঈশ্বরের আত্মা, যাকে কখনো কখনো পবিত্র আত্মাও বলা হয়, আরম্ভে উপস্থিত ছিলেন, তার পরিকল্পিত সকল কিছু সৃষ্টি করার জন্য স্বাধীনভাবে পৃথিবীর উপর তিনি গমনা গমন করছিলেন৷
01-02
ঈশ্বর বললেন
ঈশ্বর আলোর সৃষ্টি করেছিলেন কেবল একটি সাধারণ মৌখিক আদেশের দ্বারা৷
আলো হোক
এটি হল একটি আদেশ যা তক্ষনাৎ ঘটেছিল কেননা তা ঈশ্বরের দ্বারা বলা হয়েছিল৷ এটাকে আরো স্পষ্ট ভাবে অনুবাদ করা যেতে পারে যে এটা ছিল নিশ্চয়তার বাক্য যা নিশ্চই ঘটবে৷ উদাহরণ স্বরূপ, আপনি এটিকে এভাবেও অনুবাদ করতে পারেন, “ঈশ্বর বললেন, ‘আলো হবে৷”’
আলো
এটি ছিল একটি বিশেষ আলো যা ঈশ্বর সৃষ্টি করেছিলেন কেননা তখনও সূর্যের সৃষ্টি হয়নি৷
উত্তম ছিল
এই বাক্যাংশটি সৃষ্টির কাহিনীটিতে বার বার প্রয়োগ করা হয়েছে, আর জোর দেওয়া হয়েছে যে সৃষ্টির প্রতিটি ধাপ ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করেছিল আর তার যোজনা ও উদ্দেশ্যটিকে পূর্ণ করেছিল৷
সৃষ্টি
এই শব্দটি এখানে ছয় দিনের সময়কালকে উল্লেখ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, যখন ঈশ্বর অস্ত্বিত্বমান সকল কিছুর রচনা করেছিলেন৷
01-03
দ্বিতীয় দিন
ঈশ্বরের সৃষ্টির কার্য সুশৃঙ্খল, উদ্দেশ্যপূর্ণ আর ক্রমানুসার ছিল৷ যা কিছু তিনি প্রত্যেক দিন সৃষ্টি করেছিলেন তা গঠিত হয়েছিল ও নির্ভরশীল ছিল গত দিনগুলির কার্যগুলোর উপর৷
ঈশ্বর বললেন
ঈশ্বর আকাশের সৃষ্টি একটি আদেশ বলার মাধ্যমে করেছিলেন৷
সৃষ্টি করেছিলেন
ঈশ্বর আকাশকে কিছুনা (শূন্য) থেকে সৃষ্টি করেছিলেন৷
আকাশ
এই শব্দটি পৃথিবীর উপরের সকল স্থানকেই উল্লেখ করে, বাতাস যা আমরা নিঃশ্বাসে নিই আর স্বর্গসমূহও এতে অন্তর্ভুক্ত৷
01-04
তৃতীয় দিন
সুশৃঙ্খল দিনগুলোর ক্রমানুসারে আগামী দিনে যেখানে ঈশ্বর ভূমিকে জীবনের জন্য প্রস্তুত করলেন৷
ঈশ্বর বললেন
ঈশ্বর শুকনো ভূমির সৃষ্টি একটি আদেশ বলার দ্বারা করেছিলেন৷
ভূমি
এই শব্দটি এখানে ধুলা বা মাটি উল্লেখ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, যার দ্বারা শুকনো ভূমি গঠিত হয়৷ 01-01-তে “ভূমি” শব্দটি সম্পূর্ণ বিশ্বকে উল্লেখ করে যার উপর মানুষ বসবাস করে৷
সৃষ্টি হয়েছিল
এই শব্দটি এখানে প্রয়োগ করা হয়েছে এই অর্থে যে কিছু
01-05
ঈশ্বর বললেন
ঈশ্বর সকল উদ্ভিদজগতের সৃষ্টি একটি আদেশ বলার দ্বারা করেছিলেন৷
ভূমি উৎপন্ন করুক
এটি একটি আদেশ যা তক্ষনাৎ ঘটল কেননা তা ঈশ্বর বলেছিলেন৷
সকল প্রকারের
বহু প্রকারের প্রজাতি, বা ধরনের উদ্ভিদ ও গাছপালা৷
সৃষ্টি হয়েছিল
এই শব্দটি এই অর্থে এখানে প্রয়োগ হয়েছে যে কিছু
উত্তম ছিল
এই বাক্যাংশটি সৃষ্টির কাহিনীটিতে বার বার প্রয়োগ করা হয়েছে, আর জোর দেওয়া হয়েছে যে সৃষ্টির প্রতিটি ধাপ ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করেছিল আর তার যোজনা ও উদ্দেশ্যটিকে পূর্ণ করেছিল৷
01-06
চতুর্থ দিন
সুশৃঙ্খল দিনগুলোর ক্রমানুসারে আগামী দিনে যেখানে ঈশ্বর সৃষ্টি করলেন৷
ঈশ্বর বললেন
ঈশ্বর সূর্য, চন্দ্র, আর তারাদের একটি আদেশ বলার দ্বারা সৃষ্টি করলেন৷
আলো
আকাশের উজ্জ্বল বস্তুগুলো এখন পৃথিবীর জন্য আলো প্রদান করে৷
দিন আর রাত, ঋতু আর বছরসমূহ
ঈশ্বর একটি ভিন্ন আলোর সৃষ্টি করলেন সময়ের প্রত্যেক ছোট থেকে বড় ক্ষণকে চিহ্নিত করার জন্য আর তাদের অন্তিম সময় পর্যন্ত অবিরত পুনরাবৃত্তির জন্য নির্ধারিত করলেন৷
সৃষ্টি হয়েছিল
এই শব্দটি এই অর্থে এখানে প্রয়োগ হয়েছে যে কিছু
01-07
পঞ্চম দিন
গত চারদিনের সময়ে তিনি যা আরাম্ভ করেছিলেন তা ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টির সুশৃঙ্খল অগ্রগতিতে বহাল রাখলেন৷
ঈশ্বর বললেন
ঈশ্বর পাখিদের আর জলস্থ প্রাণীবর্গের সৃষ্টি একটি আদেশ দ্বারা করলেন৷
সকল কিছু যা সাঁতার কাটে
ঈশ্বর কেবল মাছদেরই সৃষ্টি করেন নি, বরং সকল ধরনের জীবদের যারা জলে বসবাস করে তাদের সৃষ্টি করেছেন। সকলকিছুর অস্ত্বিত্ব রয়েছে কেননা ঈশ্বর তেমনটাই সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন৷
সকল পাখিগণ
ঈশ্বর কেবল এক ধরনেরই পাখির সৃষ্টি করেন নি, বরং সকল ধরনের অদ্ভুত আকারের, প্রকারের, রঙের পাখিদের সৃষ্টি করেছেন৷
এটি উত্তম ছিল
এই বাক্যাংশটি সৃষ্টির কাহিনীতে পুনরাবৃত্ত করা হয়েছে এটি দেখাবার জন্য যে প্রত্যেক ধাপটি সঠিক হয়েছিল যেমনটি ঈশ্বরের বিজ্ঞ যোজনা আর উদ্দেশ্যটি ছিল৷
তাদের আর্শিবাদ করেছিলেন
ঈশ্বর তাঁর ইচ্ছা বলেছিলেন যেন সেগুলো উন্নতি লাভ করে আর পৃথিবীতে যেখানে তিনি তাদের রেখেছিলেন সকল কিছু যেন তাদের সাথে ভালো হয়৷
01-08
ষষ্ট দিন
দিনগুলোর আর সৃজনশীল কার্যগুলোর একটি অবিরত, সুশৃঙ্খল অগ্রগতিতে আগামী ঘটনা৷
ঈশ্বর বললেন
ঈশ্বরের বলা বাক্যটি হল মাধ্যম যার দ্বারা প্রাণীরা সৃষ্টি হয়েছিল৷
সকল ধরনের
এটি ইঙ্গিত করে একটি বিশাল বৈচিত্র্য আর শৃঙ্খলাকে৷
ভুচর প্রাণী
প্রত্যেক ধরনের প্রাণী যা ভূমিতে বসবাস করে, পাখিদের বা সমুদ্রে থাকে এমন প্রানীদের বিপরীতে৷
গবাদিপশু
এটি হল ভুচর প্রানীদের এক প্রকার সমূহ যা সাধারণত লোকেদের সাথে শান্তিতে বসবাস করে পালিত বা গৃহস্থ পশুরূপে৷
বুকে ভর দিয়ে চলে এমন প্রাণী
এটি সম্ভবত সরীসৃপ আর সম্ভবতঃ কীটপতঙ্গদের অন্তর্ভুক্ত করে৷
বন্য
এটি হল সেই ধরনের প্রাণী যারা সাধারনত লোকেদের সাথে শান্তির সাথে বসবাস করে না, সাধারণত কারন তারা মানুষদের ভয় পায় বা তাদের জন্য বিপদজ্জনক৷
এটি উত্তম ছিল
এই বাক্যাংশটি সৃষ্টির কাহিনীতে পুনরাবৃত্ত করা হয়েছে এটি দেখাবার জন্য যে প্রত্যেক ধাপটি সঠিক হয়েছিল যেমনটি ঈশ্বরের বিজ্ঞ যোজনা আর উদ্দেশ্যটি ছিল৷
01-09
এসো আমরা
মানুষকে একটি বিশেষ উদ্দ্যেশের জন্য একটি বিশেষ পদ্ধতিতে রচনার ক্ষেত্রে ঈশ্বরের ইচ্ছাকৃত, আকাঙ্ক্ষাপূর্ণ নির্ণয়টিকে এটি ইঙ্গিত করে৷ আপনি এটিকে এভাবে অনুবাদ করতে পারেন, “আমরা তৈরী করব৷”
আমরা
বাইবেল আমাদের শেখায় যে কেবল একজনই ঈশ্বর আছেন, কিন্তু পুরনো নিয়মে “ঈশ্বরের” জন্য একটি বহুবচন শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, আর তাই ঈশ্বর নিজ বিষয়ে বলার সময় বহুবচন সর্বনামটির প্রয়োগ করেন৷
কেউ কেউ এটিকে একটি বিশেষ ধরনের বলার ভঙ্গিমা বলে মনে করে যা ঈশ্বরের রাজকীয়
গরিমাকে প্রকাশ করে আর অন্যরা এটিকে মনে করেন যে পিতা ঈশ্বর পুত্র ও আত্মা, যারাও ঈশ্বর, তাদের সাথে কথা বলছেন৷
আমাদের প্রতিরূপে
একটি স্বরূপ বা প্রতিরূপ হল করোও বা কিছুর দৈহিক প্রতিনিধি৷ মনুষ্যদের এমনভাবে বানানো হয়েছে যে আমরা ঈশ্বরের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো অথবা বৈশিষ্ট্যমূলক গুনগুলোকে প্রদর্শন করি বা প্রতিনিধিত্ব করি।
আমাদের স্বরূপে
মনুষ্যরা ঈশ্বরের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলোর ভাগী কিন্তু তার সকল গুনগুলোর ভাগীদার নয়৷ এই বাক্যাংশটির এমন শব্দের সাথে অনুবাদ হওয়া উচিত যা দেখাব যে মনুষ্য ঈশ্বরের তুল্য, কিন্তু তার সমান নয় বা তার মতন নয়৷
কর্তৃত্ব
মনুষ্য পৃথিবী আর পশুদের কিভাবে ব্যবহার করবে তা পরিচালনা, নির্দেশন আর নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার ও শক্তি ঈশ্বর তাদের দিয়েছেন৷
01-10
কিছু ধুলো নিলেন
ঈশ্বর পুরুষকে মাটি থেকে বা শুকনো মাটি থেকে বানিয়ে ছিলেন৷ এই শব্দটি পৃথিবী বা ভূমির জন্য ব্যবহারিত সাধারণ শব্দটির থেকে সম্ভবত ভিন্ন হবে৷
সেটিকে আকার দিলেন
এই শব্দটি প্রদর্শন করছে যে ঈশ্বর ব্যক্তিগত ভাবে পুরুষকে সৃষ্টি করেছিলেন, তুলনামূলকভাবে একটি ব্যক্তি তাঁর হাতের দ্বারা কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে৷
ধ্যান দিন যে “সৃষ্টি হওয়া”
র জন্য একটি ভিন্ন শব্দের প্রয়োগ করা হয়েছে৷ লক্ষ্য করুন যে এটি খুবিই ভিন্ন সেসকল থেকে যা তিনি আদেশ দেওয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি করেছিলেন৷
একটি পুরুষ
এই সময়ে কেবল সেই পুরুষটিরই সৃষ্টি হয়েছিল; স্ত্রীর সৃষ্টি পরে একটি ভিন্ন পদ্ধতিতে হয়েছিল৷
জীবনের শ্বাস দেওয়া
এই বাক্যাংশটি ঈশ্বরের খুবিই ব্যক্তিগত, অন্তরঙ্গ কার্যকে ব্যক্ত করে যখন তিনি তাঁর থেকে আদমের শরীরে জীবন প্রেরণ করেন, কিভাবে একটি মানুষ বাতাসে শ্বাস নেই তার তুলনা এর দ্বারা হয়৷
জীবন
এই ঘটনায়, ঈশ্বর দৈহিক ও আত্মিক দুধরনের জীবনই পুরুষের মধ্যে প্রেরণ করেন৷
আদম
আদমের নামটি পুরনো নিয়মের “পুরুষের” জন্য ব্যবহারিত শব্দটির সমান, আর ধুলার জন্য ব্যবহারিত শব্দটিরও সমান যা থেকে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছিল৷
উদ্যান
একটি উদ্ভিদ ও গাছপালা রোপিত এলাকা সাধারনত খাদ্য উৎপাদন ও সুন্দরতা প্রদানের উদ্দ্যেশ্যে রচিত৷
তার যত্ন নেওয়ার জন্য
উদ্যানটির তত্তাবোধন, আগাছামুক্ত, জল দেওয়া, ফসল কাটা ও রোপনের কার্যকে করা৷
01-11
মাঝখানে
কেন্দ্রীয় স্থানটি দুটি বৃক্ষের গুরুত্বপূর্ণতাটিকে ব্যক্ত করে৷
উদ্যান
একটি উদ্ভিদ ও গাছপালা রোপিত এলাকা সাধারনত খাদ্য উৎপাদন ও সুন্দরতা প্রদানের উদ্দ্যেশ্যে রচিত৷
জীবন বৃক্ষ
যেকেউ এই বৃক্ষ থেকে ফল খেয়েছে সে কখনো মরবে না৷
সৎ ও অসৎ জ্ঞান প্রদানকারী বৃক্ষ
এই গাছের ফল এক ব্যক্তিকে ভালো ও মন্দ জানার ক্ষমতা প্রদান করে৷
জ্ঞান
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার দ্বারা জানা বা বোঝা৷
সৎ ও অসৎ
মন্দ হল ভালোর বিপরীত৷ যেমন “ভালো” ইঙ্গিত করে যা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে, “মন্দ” ইঙ্গিত করে যা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে না৷
মরবে
এই পরিপেক্ষিতে, সে দৈহিক ও আত্মিক দুটিতেই মারা যাবে৷
01-12
ভালো নয়
এটি প্রথম বার ছিল যে সৃষ্টির কিছু ভলো নয়৷ এর অর্থ ছিল, “এখনো ভলো নয়” কেননা ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টি করা সমাপ্ত করেন নি৷
একাকী
আদমই কেবল একাই মনুষ্য ছিল, অন্য মানুষের সাথে সম্পর্ক করার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না আর প্রজনন করতে আর বংশ বৃদ্ধি করতে অক্ষম ছিল৷
আদমের সহযোগী
সেখানে আদমের সমান কেউ ছিল না যেন তার সাথে যুক্ত হয়ে ঈশ্বরের কার্য পূর্ণ করে যা ঈশ্বর তাকে দিয়েছিলেন৷ কোনো পশু তা করতে পারে না৷
01-13
গভীর নিদ্রা
এটি সাধারণ নিদ্রার চেয়ে গভীর৷
আদমের একটি পাঁজরের হাঁড় নিলেন আর বানালেন
আদম থকে পাঁজরের হাঁড় নেওয়া আর সেটিকে নারীতে পরিনত করার ক্রিয়া শব্দটি ইঙ্গিত করে ঈশ্বরের খুবিই ব্যক্তিগত কার্যটিকে৷
একটি নারী
তিনি ছিলেন প্রথম নারী, মনুষ্য জাতির স্ত্রী রূপ যা এখন পর্যন্ত নিরুদ্দেশ ছিল৷
তার কাছে তাকে আনলেন
ঈশ্বর ব্যক্তিগতভাবে তাদের পরিচয় করালেন৷ তিনি নারীকে আদমের কাছে প্রস্তুত করলেন, প্রায় একটি বিশেষ উপহার স্বরূপ৷
01-14
অন্তিমে!
আদমের বিস্ময় ইঙ্গিত করে যে তিনি নারীর মত কারো জন্যে অপেক্ষায় ছিলেন৷
আমার মত
এই নারীটি আদমেরই মতন একই ধরনের ছিলেন, যদিও তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য ছিল৷
নারী
এই শব্দটি হল নর শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ৷
পুরুষ থেকে সৃষ্টি
নারী আদমের নিজ শরীর থেকে প্রতক্ষ্য ভাবে রচিত৷
একটি পুরুষ বিরত হয়ে
এটি বর্তমান কালে ব্যক্ত করা হয়েছে এটি ইঙ্গিত করতে যে ভবিষ্যতে সাধারনত পরিস্থিতি কি হবে৷ আদমের কোনো পিতা বা মাতা ছিল না, কিন্তু অন্য সকল পুরুষদের হবে৷
এক হয়
স্বামী ও স্ত্রী একতার একটি অন্তরঙ্গ বন্ধনে আর একে অপরের প্রতি একটি সমর্পনে অংশীদার হয় যা তাদের অন্যদের সাথেকার সম্পর্কটিকে ছাড়িয়ে যায়৷
01-15
ঈশ্বর বানিয়েছিলেন
ঈশ্বর স্ত্রী ও পুরুষকে খুবিই ব্যক্তিগত ভাবে বানিয়েছিলেন৷
তার নিজ স্বরূপে
একটি স্বরূপ বা প্রতিরূপ হল করোও বা কিছুর দৈহিক প্রতিনিধি৷ ঈশ্বর মানুষকে সৃষ্টি করেছিলেন তার কিছু বৈশিষ্ট্য আর চরিত্র প্রদর্শন বা প্রতিনিধিত্ব করার জন্য, কিন্তু তাঁর সমান করার জন্য নয়৷
অতি উত্তম
“এটি উত্তম ছিল” বিগত দিনগুলোর থেকে নিশ্চই আরো ভালো ৷ “খুব ভালো” সকল সৃষ্টির জন্য বলা হয়েছে, কেবল পুরুষ ও স্ত্রীর জন্য নয়৷ সকল কিছু ঠিক তেমনই হয়েছিল যেমনটি ঈশ্বর চেয়েছিলেন৷
সৃষ্টি
অস্ত্বিত্বমান সকল কিছু যা ঈশ্বর ছয় দিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন৷
01-16
সপ্তম দিন
ষষ্ট দিনের সৃষ্টি সম্পূর্ণ হওয়ার পরের দিন৷
তাঁর কার্য সমাপ্ত করলেন
বিশেষত, ঈশ্বর সৃষ্টির কার্য সমাপ্ত করলেন৷ তিনি যদিও অন্যান্য কার্য করে থাকেন৷
ঈশ্বর বিশ্রাম নিয়েছিলেন
ঈশ্বর “বিশ্রাম নিলেন” এই অর্থে যে তিনি কার্য করা সমাপ্ত করেছিলেন কেননা সৃষ্টি সম্পূর্ণ হয়েছিল৷ ঈশ্বর ক্লান্ত হয়েছিলেন বা কার্য জারি রাখতে অক্ষম ছিলেন এমনটা নয়৷
সপ্তম দিনটিকে আর্শিবাদ করলেন
ঈশ্বরের কাছে সপ্তম দিনটির আর আগামী সকল সপ্তম দিনগুলোর জন্য বিশেষ ও ইতিবাচক যোজনা ছিল৷
এটিকে পবিত্র করলেন
যার অর্থ হল যে ঈশ্বর দিনটিকে একটি বিশেষ দিনের মত “নির্ধারিত করলেন৷” সপ্তাহের অন্য দিনগুলোর মত একই ভাবে ব্যবহারের জন্য এটি ছিল না৷
ব্রহ্মাণ্ড
এইটি পৃথিবীতে ও আকাশে ঈশ্বরের রচিত সকল কিছুকে অন্তর্নিহিত করে, দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান দুটোই৷
একটি বাইবেল কাহিনী
এইসব উল্লেখগুলো কিছু কিছু বাইবেল অনুবাদে সামান্য ভিন্ন হতে পারে৷