নির্দয় দাসের রুপক
একদিন পীতর যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন,“প্রভু আমার ভাই কতবার আমার বিরুদ্ধে অপরাধ করলে আমি তাকে ক্ষমা করব?কি সাতবার প্রযন্ত”? যীশু উত্তর দিলেন, “সাতবার নয়, কিন্তু ৭০ গুন সাতবার প্রযন্ত”! একারণে যীশু বললেন,আমাদের সবসময় ক্ষমা করা উভিত। তারপর যীশু এই গল্পটি বললেন।
যীশু বললেন, স্বর্গরাজ্য এমন এক রাজার মতো, যিনি তার দাসদের কাছে হিসেব চাইলেন। তাদের মধ্যে একজন দাস তার কাছে ২০০,০০০ তালন্তের এক বড় ঋণী ছিল”।
“কিন্তু দাসের ঋণ পরিশোধ করার অক্ষমতা ছিল”।তাই রাজা আদেশ দিলেন, যেন তাকে, তার স্ত্রী ও সন্তানদের ও তার সর্বস্ব বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করা হয়”।
“এতে সেই দাস তাঁর পায়ে নতজানু হয়ে পড়লে এবং বলল, ‘আমার প্রতি ধৈর্য ধরুন, সে মিনতি জানাল, আমি সব দেনা শোধ করে দেব’। রাজা তার প্রতি দয়া হয়ে তার ঋণ মকুব করলেন ও তাকে চলে যেতে দিলেন”।
কিন্তু সেই দাস রাজা থেকে বেরিয়ে এসে তার এক সহদাসকে দেখতে পেল, সে তার কাছে চার মাস হল ঋন নিয়েছিল। সে তাকে ধরে তার গলা টিপে দাবি করল, ‘আমার কাছে যে ঋণ করেছিস তা শোধ কর’”।
তার সহদাস তার পায়ে পড়ে মিনতি করল, আমার প্রতি ধৈর্য ধরো , আমি তোমার ঋণ শোধ করে দেব, পরিবর্তে সে চলে গিয়ে ঋন শোধ না করার পর্যন্ত তাকে কারাগারে বন্দী করে রাখল”।
“অন্য সব সহদাস যখন এসব ঘটতে দেখল, তারা অত্যন্ত রেগে গিয়ে তদের রাজাকে যা ঘটেছিল সব বলল”।
“রাজা দাসকে ডাকলেন এবং বললেন, ‘দুষ্ট দাস তুমি, আমার কাছে মিনতি করায় আমি তোমার সব ঋণ মকুব ক্রেচগিলাম। আমি যেমন তোমাকে দয়া করেছিলাম,তোমারওকি উচিত ছিল না তোমার সহদাসকে দয়া করা’? রাজা ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে কারাধ্যক্ষদের হাতে নিপীড়িত হওয়ার জন্য সমর্পণ করলেন, যতদিন না পর্যন্ত সেতার সমস্ত ঋণ শোধ করে”।
তারপর যীশু বললেন, “ তোমরা যদি প্রত্যেকে তোমাদের ভাইকে মনেপ্রানে ক্ষমা না করো, তাহলে আমার স্বর্গস্থ পিতাও তোমাদের প্রতি এরকমই আচরণ করবেন”।
Matthew 18:21-35