যীশু এক ভূতগ্রস্ত লোক অসুস্থ নারীকে সুস্থ করলেন
1 যীশু এবং তার শিষ্যরা নৌকায় করে গেরাসেন অঞ্চলে গেলেন। তারা সেখানে পৌছে নৌকা থেকে নামলেন।
সেখানে একজন ভূতগ্রস্ত লোক ছিল।
লোকটি এতই শক্তি ছিল যে কেউই দমন করতে পারত না। কনো কনো সময় লোকেরা বাহু এবং পাগুলো সেকল দিয়ে বেধে রাখত, কিন্তু তিনি সেগুলো ভেঙ্গে ফেলত।
এই লোকটি কবরস্থানে বাস করত। লোকটি সারা দিন এবং সারা রাত চিৎকার করত। তিনি কাপড় পরত না এবং পাথর দিয়ে নিজেকে ক্ষতবিক্ষত করত।
লোকটি যীশুর সামনে দৌড়ে এসে নতজানু হল। যীশু তাকে বলেছিলেন, “ওহে ম্নদ-আত্না,এই মানুষতির ভেতর থেকে বেরিয়ে এসো”।
ভূতগ্রস্ত লোকটি জোড়ে আওয়াজ করে চিৎকার করল। “ঈশ্বরের পুত্র যীশু, আমাকে নিয়ে আপনি কি করতে চান? আপনি আমাকে যন্ত্রণা দেবেন না”। যীশু তাকে প্রশ্ন করলেন,“তোমার নাম কি”?তিনি উত্তরে বললেন, “আমার নাম লিজিয়ন,কারন আমরা অনেক”।
ভূতগ্রস্ত লোকটি যীশুর কাছে বিনয় করতে লাগল, “দয়া করে আমাদেরকে এই জায়গা থেকে বিতারিত করবেন না”! অদূরে পাহাড়ের ঢালে বিশাল একপাল শুকর চড়ে বেড়াচ্ছিল।তাই ভূতেরা যীশুর কাছে মিনতি করতে লাগল, “আমাদের ওই শূকরদের মধ্যে পাঠিয়ে দিন” যীশু বললেন, “ঠিক আছে, যাও তাদরে ভেতরে প্রবেশ করো!”
তাই ভূতেরা লোক থেকে বেড়িয়ে আসলো এবং শূকরের ভেতর ঢুকে গেল। সেগুলি হ্রদের ডালু পার বেয়ে ছুটে গেল এবং হ্রদের ডুবে মরল।। সেখানে প্রায় ২,০০০শূকর ছিল।
যারা ওই শূকরদের চরাচ্ছিল, তারা দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে শহরে এই বিষয়ে খবর দিল। কি ঘটেছে তা দেখার জন্য লোকেরা শহর থেকে বেরিয়ে আসলো। সেখানে তারা প্রত্যেকে বলল যীশু কি করল। তারা শহর থেকে যীশুর কাছে এসে দেখল, যে মানুষটির উপড়ে ভুত বাহিনী ভর করেছিল , সে পোশাক পড়ে সুবোধ হয়ে সেখানে বসে আছে।
লোকেরা সবাই ভয় পেয়ে গেল এবং যীশুকে তাদের অঞ্চল ছেড়ে যাওয়ার জন্য মিনতি করল। তাই যীশু নৌকাই উঠতে গেলেন। যে ভূতগ্রস্ত হয়েছিল, তাঁর সঙ্গে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলো।
যীশু তাকে উত্তরে বললেন, “না তুমি বাড়ীতে যাও এবং সবাইকে বলো ঈশ্বর তোমার জন্য কি করেছে। তাদেরকে বলো ,কেমন করে তিনি তোমার প্রতি দয়া প্রদর্শন করেছেন”।
তখন সে চলে গেল এবং যিশুর তার জন্য যা করেছেন, সেকথা ডেকাপলিতে প্রচার করতে লাগল। আর সব মানুষই এতে চমৎকৃত হল।
যীশু আবার নৌকায় উঠে হ্রদের অপর পারে গেলেন। তিনি সেখানে পৌঁছার পর, তার চারপাশে অনেক লোকের সমাবেশ হলো। ভীড়ে মধ্যে একজন মহিলা ছিল যিনি ১২ বছর ধরে রক্তস্রাবের রোগে ভুগেছিল। তিনি তার সর্বস্ব টাকা দিয়ে রোগমুক্তির জন্য বহু চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানের ছিল, কিন্তু অবস্থা ক্রমেই নিকৃষ্টতর হল।
তিনি যীশুর কথা ভিড়ের মধ্যে সে পেছন্দিকে এল এবং তার পোশাক স্পর্শ করল, কারণ সে ভেবেছিল, “আমি যদি কেবলমাত্র তাঁর পোশাকটি স্পর্শ করতে পারি, তাহলেই আমি সুস্থ হয়ে যাব”। তাই যীশুর পেছনদিকে এসে তার কাপড় স্পর্শ করল। স্পর্শ করার পরই তার রক্তস্রাব বন্দ হয়ে গেল!
সেই মুহুরতেই যীশু উপলদ্ধি করলেন যে, তার মধ্য থেকে শক্তি নির্গত হয়েছে। তিনি পেছনে লোকদের দিকে ঘুরে বললেন, “কে আমার পোশাক স্পর্শ ক্রেছে?” তাঁর শিষ্যরা উত্তর দিলেন, “আপনি দেখতে পাচ্ছেন, লোকেরা আপনার উপর চাপাচাপি করে পড়ছে, তবুও আপনি জিজ্ঞাসা করছেন, কে আমাকে স্পর্শ করল?”
নারী যীশুর কাছে এসে তাঁর চরণে পতিত হল, সে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সমস্ত সত্য তাঁকে জানাল। তিনি তাকে বললেন, “কন্যা তোমার বিশ্বাসই তোমাকে সুস্থ করেছে। যাও তুমি শান্তিতে চলে যাও তোমার কষ্ট থেকে মুক্ত থাকো”।
Matthew 8:28-34; 9:20-22; Mark 5:1-20; 5:24b-34; Luke 8:26-39; 8:42b-48