যীশু কারাগারে
এখন সময় মধ্যরাত। সৈন্যরা যীশুকে মহাযাজকের বাড়ীতে নিয়ে গেলেন কারণ তিনি যীশুকে জিজ্ঞাসা করতে চেয়েছিলেন। পিতর তাদের পেছনে অনুসরণ করতে লাগ্লেন। যখন সৈন্যরা যীশুকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে গেলেন, তখন পিতর বাইরে নিজেকে শরীর উষ্ণতার জন্য আগুন পোহাছিলেন।
বাড়ীর ভেতরে ইহুদীর নেতারা যীশুকে কারাগারে রাখলেন। মিথ্যা সাখ্য প্রদানের জন্য তারা অনেক মিথ্যা সাক্ষী নিয়ে গেলেন।অধিকন্তু তাদের এজাহার পরস্পরে রাজী না হওয়ায় ইহুদী নেতারা যীশুর অপরাধ কোনকিছুই খুঁজে পেলেন না।
সবশেষে মহাযাজক সরাসরি যীশুকে দেখলেন এবং বললেন, “আমাদেরকে বলো,তুমি কি মেশিয়াহ, জীবিত ঈশ্বরের পুত্র?”
যীশু উত্তর দিলেন, হ্যাঁ, ঠিক তাই। “ভাবীকালে আপনারা আমাকে সেই সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের সাথে বসে থাকতে এবং আকাশের মেঘে করে আসতে দেখবেন”। যীশুর কথা শুনে রেগে মহাযাজক তার কাপর ছিঁড়ে ফেললেন। তিনি চিৎকার করে অন্য নেতাদের বললেন, “সে কি করেছে তা বলার জন্য আমাদের আর স্বাক্ষী প্রয়োজন নেই! তোমরা নিজেই শুনেছ সে একজন ঈশ্বরের পুত্র। তার বীরুদ্ধে তোমাদের সিদ্ধান্ত কি?”
ইহুদী নেতারা মহাযাজককে উত্তরে বললেন, “তার মৃত্যুরই যোগ্য”।! তারপর তারা যীশুর চোখ বেঁধে ফেলল, তাকে থুতু দিল,ঘুসি মারল,এবং উপহাস করল।
সেই সময় পিতর বাইরের উঠানে বসেছিলেন।একজন দাসী তার কাছে এসে বলল, তুমিও সেই যীশুর সঙ্গে ছিলে”। পিতর অস্বীকার করলেন। পরে আরো একজন দাসী এসে একই কথা বললেন, তিনি আবার অস্বীকার করলেন। সবশেষে আরো লোক এসে বলল, “আমরা জানি যে তুমি যীশুর সাথে ছিলে কারণ তোমরা উভয়েই গ্যালিলিবাসী”।
তখন পিতর নিজের উপড়ে অভিশাপ ডেকে এনে তাদের কাছে শপথ করে বললেন, “আমি ওই কানুষটিকে চিনি না”। সেই মুহূর্তে একটি মোরগ ডেকে উঠল। যীশু চারিদিকে দেখলেন,এবং পিতরকে দেখতে পেলেন।
পিতর বাইরে গিয়ে খুব জোড়ে কাঁদতে লাগলেন। সেই সময় যিহুদা,যিনি ঈশ্বরের সাথে প্রতারণা ক্রেছিলেন,তিনি দেখলেন যে সমশ্ত প্রধান যাজক ও লোকদের প্রাচীনবর্গ এই সিদ্ধান্তে স্থির হলেন যে, যীশুকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। যিহুদাহ তীব্র বিবেক দংশনে বিদ্ধ হল এবং আত্নহত্যার জন্য চলে গেলেন,
এখন পীলাত যিহুদাহ রাজ্যে প্রদেশপাল। তিনি রোমের জন্য কাজ করতেন। ইহুদীর নেতারা যীশুকে তার কাছে নিয়ে গেলেন।তারা চাই পীলাত যীশুকে নিন্দা এবং হত্যা করুক। প্রদেশপাল যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি ইহুদিদের রাজা?”
যীশু উত্তর দিলেন, “ঠিক তাই, যেমন আপনি বললেন”। কিন্তু এই মাটিতে আমার স্বর্গরাজ্য নয়। যদি তাই হয়,আমার দাসরা আমার জন্য যুদ্ধ করবে। আমি ঈশ্বরের সত্য কথা বলার জন্য পৃথিবীতে এসেছি। কেউ যদি সত্যকে ভালবাসে তবে আমার কথা শোন”, পীলাত প্রশ্ন করলেন, “কোনটা সত্য?”
যীশুর সাথে কথা বলার পর, পীলাত ভীর জনসাধারণের কাছে চলে গেলেন এবং বললেন, “এই লোকটাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার মত আমি কনো কারণ খুঁজে পাচ্ছি না”। কিন্তু ইহুদীর নেতা এবং ভীর জনগণ চিৎকার করে বলে উঠল, “তাকে ক্রুশবিদ্ধ করুন”! পীলাত উত্তরে বললেন, “তিনি অপরাধীর হওয়ার মতো কিছুই করে নাই”। কিন্তু তারা আরো চিৎকার করতে লাগল। তারপর পীলাত তৃতীয় বারের মতো বললেন, “সেই নির্দোস”!
ভীড় জনতা ডাঙ্গা শুরুর জন্য পীলাত ভয় পেলেন, তাই তিনি সৈন্যদের কথা রাজী হলেন।রোমান সৈন্যরা যীশুর জন্য কাঁদতে লাগল, এবং রাজকীয় পোশাক পড়িয়ে দিল, এবং কাঁটালটা দিয়ে পাকানো একটি মুকুট তৈরী করে তার মাথায় স্থাপন করল। তারপর এই বলে তারা উপহাস করল, “দেখ, ইহুদীর রাজাকে”!
Matthew 26:57-27:26; Mark 14:53-15:15; Luke 22:54-23:25; John 18:12-19:16