ঈশ্বর যীশুকে মৃত্যু থেকে পুনরুথান করলেন
সৈন্যরা যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার পর, ইহুদী নেতারা পীলাতকে বলল, “মিথ্যুক,যীশু,বললেন তিনদিন পরে তিনি আবার মৃত্যু থেকে পুনরুথান হবেন। তার শিষ্যরা যাতে মৃত দেহ চুরি করতে না পারে সমাধিতে কয়েকজনকে পাহারা দিয়ে রাখলেন। যদি তাই হয়,তারা বলতে পারবে তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুথান হয়েছেন।
পীলাত বললেন, “যতটুকু পার কয়েকজন সৈন্য নিয়ে সমাধিতে পাহারা দাও”। তাই সমাধির প্রবেশ পথে একটা পাথর দিয়ে তারা পথ বন্ধ করে দিলেন। যাতে মৃত দেহ চুরি না হয় সেখানে আরো সৈন্য মোতায়েন করলেন।
যীশুর মৃত্যু পরের দিন ছিল পবিত্র সাবাথা দিন। পবিত্র সাবাত্থা দিনে কেউ কাজ করবে না, তাই যীশুর কোনো বন্ধু সমাধিতে গেলেন না। পবিত্র সাবাত্থা পরের দিনে খুব ভোরে কয়েকজন মহিলা যীশুর সমাধি দেখতে গেলেন।তারা তার দেহের উপর অনেক সুগন্ধ দ্রব্য রাখতে চেয়েছিল।
মহিলাদের পৌঁছানোর আগে ,সমাধিস্থানে বড় ধরনের ভুমিকম্প হলো। একজন স্বর্গের দূত এসে পরলেন। তিনি সমাধির প্রবেশ পথে আটকানো বড় পাথর সরিয়ে নিলেন,এবং তার উপরে বসে পড়লেন। দূত ছিল সূর্যের আলোর মত শভ্র।সমাধিস্থানে সৈন্যরা তাকে দেখতে পেলেন। তারা খুবই ভীত হয়ে মাটিতে মৃত মানুষের মত পড়ে গেলেন।
যখন মহিলারা সমাধিস্থলে পৌছল, স্বর্গে দূত তাদেরকে বললেন, “ভয় পেয়ো না, যীশু এখানে নেই।তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থান হয়েছেন।,তিনি যেভাবে বলেছিলেন,ঠিক তাই! সমাধির ভিতরে চেয়ে দেখো”। যীশুর মৃত দেহ কোথায় শুয়ে আছে মহিলারা সমাধির ভিতরে দেখল।কিন্তু তার দেহ সেখানে নেই!
তখন দূত মহিলাদের বললেন, “যাও এবং শিষ্যদের বলো, ‘যীশু মৃত থেকে পুনরুত্থান হয়েছেন এবং তিনি তোমাদের আগে গ্যালিলি যাচ্ছেন”।
মহিলারা ভীতকম্পিত ও কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে খুবই আনন্দিত হলো।তারা শিষ্যদেরকে এই সুখবর বলতে চলে গেলেন।
মহিলারা শিষ্যদের এই সুখবর দিতে গিয়ে পথে যীশুর সাথে দেখা হলো, তারা তার পায়ে নত হয়ে প্রনাম করলেন। তারপর যীশু বললেন, “ভয় পেয়ো না, যাও এবং আমার শিষ্যদের বলো গ্যালিলি যেতে। তারা সেখানে আমাকে দেখতে পাবে”।
Matthew 27:62-28:15; Mark 16:1-11; Luke 24:1-12; John 20:1-18